তৈয়বুর রহমান কিশোর,বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক ব্যাংক কর্মকর্তার নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ নিয়ে নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুতের মেইন লাইন থেকে অবৈধ সংযোগ নিয়ে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করলেও শনিবার (৬ মে) সকালে অবৈধ সংযোগের কারণে বৈদ্যুতিক গোলযোগ ঘটলে বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নজরে আসে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস শনিবার বন্ধ থাকায় রবিবার (৭ মে) ওই নির্মাণাধীন ভবন মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

   ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বোয়ালমারী জোনাল অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের বোয়ালমারী শাখার সিনিয়র অফিসার মাহবুবুর রহমান বোয়ালমারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেডিয়াম সড়কে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করছেন। ভবনের ছাদ এবং দেয়াল নির্মাণের কাজ শেষে গত এক সপ্তাহ ধরে গ্রীল বানানোর কাজ চলছে। এ কাজে বিদ্যুৎ লাইনের যে স্থান থেকে অবৈধ সংযোগ নেওয়া হয়েছিল ওই স্থানে শনিবার সকাল ৮টার দিকে আগুন ধরে বিকট শব্দে আশেপাশের এলাকা বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বোয়ালমারী জোনাল অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। তারা অবৈধ সংযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার নির্মাণাধীন ভবনের জন্য জানালার গ্রীল নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে নিয়ে যায়। গ শনিবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আর্থিক লেনদেন বন্ধ থাকায় রবিবার (৭ মে) এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানায়।
এ ব্যাপারে ভবনের মালিক ব্যাংক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আমার মিস্ত্রি অবৈধ সংযোগ নিয়ে কাজ করছে বলে জানতে পেরেছি। শনিবার এ ব্যাপারে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বোয়ালমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোহাম্মদ মোর্শেদুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবৈধ সংযোগ নিয়ে ওই ভবনের জানালার গ্রীলের কাজ চলছিলো। শনিবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আর্থিক লেনদেন বন্ধ থাকায় কি পরিমাণ বিদ্যুৎ ওই ভবনের গ্রীল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে তা যাচাই সাপেক্ষে রবিবার আর্থিক (জরিমানা) শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।